শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া প্রতিনিধি: জন্মিলে মরিতে হবে এটাই চিরন্তন সত্য। শেষ বিদায়ের ঠিকানাটা একই। কি ধনী কি গরীব, সবাইকেই সাদা কাপড় পড়ে সাড়ে ৩ হাত মাটির ঘরে অন্তিম শয়নে সায়িত হতে হবে। ওখানে কোন বেদাবেদ বা প্রকারবেদ নেই। তবে সেই শেষ বিদায়ে যেন মানুষের পানিদূর্ভোগ ছাড়ছেই না। গত আম্ফান বন্যা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর শহরের বেশিরভাগ অংশে পানি জমে আছে। বর্তমানে উপজেলার ৮১টি গ্রামের অনেকাংশ রয়েছে পানির নিচে।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেরও একই অবস্থা। যদিও জোয়ারে পানি ওঠে ভাটায় নেমে যাচ্ছে। তার পরেও যে স্থান গুলোতে পানি উঠলে নামার কোন ব্যবস্থা নেই ওখানকার পরিবারগুলো প্রায় ৪ মাস পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে আছে। যা থেকে উত্তরণের কোন পথই পাচ্ছেন না ওই পরিবারগুলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন,পৌরশহরের প্রায় সবকটি সরকারি খাল প্রভাবশালী মহল বা তাদের মদদে অন্যরা অনেক আগেই ভরাট করে দখল করে নিয়েছেন। ফলে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে চরমভাবে পানিদূর্ভোগে পরেছেন পৌরসভার সাধারণ নাগরিকরা।
উপজেলার প্রত্যান্তণাঞ্চলেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানের সালুকসন্দানে দেখাগেছে স্থায়ীভাবে পানিবন্দি হওয়া বা জোয়ারে পানি ওঠে আর ভাটায় নেমে যায় এমন স্থানের পরিবার গুলোর মধ্য থেকে কোন সদস্য মারা গেলে তার শেষ বিদায়ের ঠিকানা কবর খুড়লেই ভিতরে পানি উঠে যাচ্ছে। এই অবস্থা প্রায় গত ৪ মাস পর্যন্ত। এদিকে বানারীপাড়া সরকারি কবরস্থান ও মহাশ্মানেরও একই অবস্থা। এখানে বর্তমানে কোন মানুষকে শেষ বিদায় দেয়ার মতো অবস্থা নেই। আবার দেখা গেছে পানিদূর্ভোগের কারণে অনেককে কাঠের বাস্ক’র মধ্যে রেখেই শেষ বিদায় দেয়া হয়েছে। তাতেও ওই দূর্ভোগ রয়েই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে শেষ বিদায়ের ঠিকানায় মানুষের পানিদূর্ভোগ যেন ছাড়ছেই না।